করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থীরা উৎসাহ-উদ্দীপনা সহকারে এ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজধানীতে অবস্থান হওয়ায় ও অল্প সময়ের মধ্যে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে সকল শিক্ষার্থীর স্বপ্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার।
২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনিয়ম।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামানের স্বাক্ষরিত ভর্তির লক্ষ্যে একটি সাক্ষাৎকার এর বিজ্ঞপ্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে A,B এবং C ইউনিটে ৭ম মেধা তালিকা থেকে ভর্তির পর বিভিন্ন বিভাগে বিদ্যমান শূন্য আসনে পূরণের লক্ষ্যে একটি সাক্ষাৎকার আহ্বান করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম অনুসারে আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে বিষয় বরাদ্দ দেওয়া হবে। সাক্ষাৎকারের বিষয় প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কোন মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবে না। এছাড়াও ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির শেষ পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছিল বিজ্ঞপ্তিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টত ছিল যে, যে সকল শিক্ষার্থী সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করবেন তাদের বিষয় প্রাপ্ত হওয়ার পরে কোন মাইগ্রেশনের সুযোগ থাকবে না। যেহেতু মাইগ্রেশনের সুযোগ নেই এমন বিজ্ঞপ্তি শুনে অনেক শিক্ষার্থী সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করেনি। ৮ম মেধাতালিকায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা যে বিষয় পেয়েছিল তাদের মাইগ্রেশন হয়ে অন্য বিভাগ চলে এসেছে। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল মাইগ্রেশন হবে না।
এ বিষয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থী জানান, আমার অষ্টম মেধাতালিকায় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ এসেছিল।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল মাইগ্রেশনের সুযোগ নেই কিন্তু এখন আমার মাইগ্রেশন হয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান চলে এসেছে। কিন্তু আমি উদ্ভিদ বিজ্ঞান পড়তে ইচ্ছুক নই, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছিলাম।
অন্যদিকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এক শিক্ষার্থী জানান- বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল মাইগ্রেশনের কোনো সুযোগ থাকবে না। এ কারণে আমি ভর্তির সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করেনি। আমি মনোবিজ্ঞান বিভাগ এ ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছিলাম। যদি মাইগ্রেশনের সুযোগ থাকতো তাহলে আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতাম। কিন্তু এখন দেখা দিয়েছে তার বিপরীত। যে সকল শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে তাদের মাইগ্রেশন হয়েছে। আমার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়া হলো না। এমন ভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রমে অনিয়ম চলতে পারে না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদের ডিনদের সাথে কথা বললে কোন সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।